· 2 min read
কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উত্তেজনা: জনতার রোষ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ
ফরিদপুরে এক কিশোরকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মারধর, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে জীবন রক্ষা। পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েকটি শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছে, তবে সেনাবাহিনীর আচরণ নিয়ে বিতর্ক উঠেছে
কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উত্তেজনা: জনতার রোষ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় একাদশ শ্রেণির এক কিশোরকে ইসলামের নবী সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে প্রথমে সহপাঠীদের দ্বারা এবং পরে ক্ষুব্ধ জনতার হাতে মারধরের শিকার হতে হয়। কিশোরটি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করলেও উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের পর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং কিশোরের জীবন বাঁচাতে সেনাবাহিনীর হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
জনতার দাবিতে তিনটি শর্ত মেনে নেওয়া হয়
ঘটনার সময় পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে জনতার একাংশ কলেজের প্রিন্সিপালের রুমের দরজা ভেঙে কিশোরটিকে “মেরে ফেলার” চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি শান্ত করতে তিনটি শর্ত মেনে নেওয়া হয়: কিশোরকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা, একজন সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে শোকজ করা, এবং একজন আলেমের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে কিশোরকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার পরও, জনতার তোপের মুখে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের আচরণ সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়。
সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও বিতর্ক
সেনাবাহিনী কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কিশোরকে চোখ বেঁধে কাঁধে তুলে নেওয়া হচ্ছে এবং কয়েকজন সেনা সদস্য তাকে বুট দিয়ে আঘাত করছেন। ভিডিওগুলো প্রকাশ পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক দেখা দেয়। অনেকে এই আচরণকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে বিচার দাবি করেন。
বর্তমান পরিস্থিতি
কিশোরকে বর্তমানে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছে এবং তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। এর আগে, পাঁচ মাস আগেও একই অভিযোগে এই কিশোরকে আটক করা হয়েছিল এবং সেবারও তাকে ৫৪ ধারায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।